আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সরকারী কলেজে ভর্তি নিয়ে শঙ্কায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
ভালো রেজাল্ট করেও সরকারী কলেজে ভর্তি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। জিপিএ-৫ এবং এ ক্যাটাগরির ভালো শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট আসন পাবে কিনা তা নিয়ে খোদ অভিভাবকদের প্রশ্ন থেকে যায়। কয়েকদিন পূর্বে এসএসসি ফল প্রকাশের পর নগরীর বিভিন্ন স্কুল গুলোতে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাস। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে আনন্দ করেছে শিক্ষকরাও। পাশে অবস্থানরত অভিভাবকদের অনেকের চোখে উচ্ছাস থাকলেও মুখে শঙ্কার ছাপ। নম্বর বিভাজন নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজ গুলোতে ভর্তি হতে পারবে কিনা তা নিয়েই মূলত ভয় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের।

হুমায়রা আক্তার মুন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী। নগরীর সিদ্ধিরগঞ্জ এমডাব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বে সঙ্গে পাশ করেন। দুই বছরের টানা পরিশ্রমের বিনিময়ে এ সাফল্য অর্জন হয়েছে। আগামিতে আরো পরিশ্রম করলে এ সাফল্য ধরে রাখতে পারবো। কিন্তু ফলাফল অনুযায়ী ভালো কলেজে ভর্তি নিয়ে ভয় হচ্ছে। কেননা সব কলেজেই চায় ভালো মার্ক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে। আমাদের নম্বর অনুযায়ী পছন্দের কলেজ পাবো কিনা তা নিয়ে ভয় হচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, মেধাবীদের র‌্যাংকিং করা হবে। জিপিএ ৫ ধারী সবাই একই নাম্বার পায়নি। এ জন্যই র‌্যাংকি করা হচ্ছে। সে অনুসারেই ভর্তি ইচ্ছুক মেধাবীদের পছন্দ নির্ধারণ করতে হবে। সে অনুসারেই তাকে আবেদন করতে হবে। একাদশ শ্রেণীতে অনলাইন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তিকার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ১২ মে এবং চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম ২৭ জুন থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ জুনের মধ্যে। এ ছাড়া ২০১৯-২০ শিক্ষবর্ষে একাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই’১৯ থেকে। এবার এসএসসি ও সমমানের ফলাফলে জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার যেমন কমেছে তেমনি বেড়েছে পাসের হার। ফলে জিপিএ-৪ শিক্ষার্থীরা ভালো কলেজে ভর্তির জন্য আবেদনই করতে পারবে না। এতেই হতাশা ও ক্ষোভ বেড়েছে তাদের মধ্যেও। অভিভাবকরা বলেছেন, এবারের ফলাফলে এমনিতেই কিছুটা ছন্দ পতন ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা জীবনের শুরুতেই হোঁচট খাবে। শিক্ষা জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অভিভাবকরা বলছেন, জিপিএ-৫ পেয়েও শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজ গুলোতে ভর্তি হতে পারেনা। পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারী কলেজ গুলোতে ভর্তির প্রক্রিয়ায় দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভূগতে হচ্ছে তাদের। তবুও মনে আশার আলো জে¦লে আছেন অভিভাবকেরা।
এ বিষয়ে সরকারী তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ বেলা রাণী সিংহ বলেন, আমাদের কলেজে প্রায় ২৫শ এর অধিক সিট একাদশ শ্রেনীর জন্য রয়েছে। অনলাইনে আবেদন করার পর বোর্ডের নির্দেশ ক্রমেই আমরা ভর্তি করি। অনলাইনে যদি কলেজে চান্স না পায় তাহলে নিজের সন্তান হলেও সেই কলেজে ভর্তি করাতে পারবো না। আমাদের কিছু করার থাকে না।

অদৃশ্য কোন হাতের ইশারায় কলেজে চান্স না পেয়েও ভর্তির একটি অভিযোগ প্রায় শুনা যায়, এ বিষয়ে কি বলবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটার কোন সুযোগ নেই। যেহেতু কলেজে চান্স পাওয়া না পাওয়া পুরোটাই বোর্ড দেখে কেউ চাইলেও কিছুই করতে পারবো না।

এ বিষয়ে সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বেদৌরা বিনতে হাবিব’র সঙ্গে মুটোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।